লামা প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা উপজেলায় বন্যহাতির হামলায় আশ্রাফিয়া বেগম (৬০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, একই সময় বন্যহাতি কৃষকের ৪টি বসতঘরও ভাংচুর করে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি আন্দারী জামালপুর গ্রামের হিমছড়ি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশ্রাফিয়া বেগম আন্দারী জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলী তালুকদারের স্ত্রী। বর্তমানে হাতিগুলো সরই ইউনিয়নের সীমান্ত বর্তী টংগাবতী পাহাড়ে অবস্থান করছে, বিধায় যে কোন সময় আবারও হামলা করে জান মালের ক্ষতি করতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিনগত রাতে ১০-১২টির একটি বন্য হাতির দল গহীন পাহাড় থেকে উপজেলার সরই ইউনিয়নের আন্দারী জামালপুর গ্রামের হিমছড়ি পাড়ায় নেমে পড়ে রাতভর তান্ডব চালায়। এ সময় হাতির পালটি লাল মিয়ার বসতঘর, মানিক মিয়ার মাছের খামার ঘর ও সেলিমের খামার ঘর ভাংচুর করে। পরে ভোর ৪টার দিকে হাতিগুলো সাহেব আলী তালুকদারের বসতঘরে ভাংচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘরের লোকজন প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র আশ্রয় নিতে যাওয়ার সময় হাতির কবলে পড়েন তালুকদারের স্ত্রী আশ্রাফিয়া বেগম।
ক্ষতিগ্রস্ত লাল মিয়া, সেলিম জানান, গত কযেক দিন ধরে হাতিগুলো দিনের বেলায় পাহাড়ে অবস্থান করে আবার অন্ধকার নেমে আসলে লোকালয়ে হামলে পড়ে। এতে এলাকার মানুষ নির্ঘুত রাত কাটানোর পাশাপাশি আতংকে চরম আতংকে আছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল্ আলম চকরিয়া নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ১০-১২টির একটি বন্য হাতির দল একের পর এক ঘরবাড়ি ভাংচুর করে চলেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোর রাতে হামলা চালিয়ে সাহেব আলীর স্ত্রীকে আড়চে মেরে ফেলে এবং কৃষকের ৪টি বসতঘর ভাংচুর করে। হাতির হামলার বিষয়ে বন বিভাগ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও থানাকে জানানো হয়েছে। হাতির দলটি বর্তমানে এলাকার সীমান্ত বর্তী টংগাবতী পাহাড়ে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বলেন, বন্যহাতির হামলায় এক বৃদ্ধা নিহত ও বসতঘর ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ পাবেন। পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহায়তায় হাতিগুলোকে গহীন পাহাড়ে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
পাঠকের মতামত: